পাকা রঙ দেখে কলা কিনছেন বাজার থেকে ? সতর্ক হোন এখনই

7th August 2021 8:59 pm বর্ধমান
পাকা রঙ দেখে কলা কিনছেন বাজার থেকে ? সতর্ক হোন এখনই


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : পানাগড় বাজার সহ আশেপাশের সমস্ত বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে তাজা কলা। পানাগড় বাজারে দু-একটা পুরাতন ফলের দোকান থাকলেও বর্তমানে পানাগড় বাজারের রাস্তার দু ধারের ফুটপাত জুড়ে কলা বিক্রি করছেন ফল বিক্রেতারা।  কলার গোড়া সবুজ হলেও সমস্ত বাজারে পাকা হলুদ রঙের কলা দেখে ও কলা বিক্রেতাদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হওয়া দেখে সন্দেহ হয় পানাগড় বাজারের বাসিন্দাদের। এরপরই পানাগড় বাজারের কয়েকজন বাসিন্দা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন পানাগড়ের  দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন পুরাতন জাতীয় সড়কের পাশে একটি কারখানা থেকে এই কলা আসে বাজারে।এবং এই কলা একদিকে গলসি ও অপরদিকে দুর্গাপুর পর্যন্ত সাপ্লাই করা হয়।  পানাগড় নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে কাঁকসা ব্লকের ব্লক আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে তারা লিখিত অভিযোগ জানান। তারা অভিযোগ জানিয়েছেন ওই কারখানা কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রয়োগ করে বিভিন্ন কাঁচা ফল কে পাকিয়ে সেগুলি বাজারে বিক্রির জন্য ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে পাঠানো হচ্ছে। এবং এই কাজে শিশুশ্রমিকদের যুক্ত করা হয়েছে বলে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।  গোটা কারখানা সিসি টিভি লাগিয়ে বাইরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ বোর্ড লাগানো দেখে সন্দেহ আরো দানা বাঁধে।
সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা কোনো সংবাদ মাধ্যমেরও ওই কারখানায় প্রবেশের অনুমতি মেলে না বলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তারা আরও জানান এই  ফল খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরে ক্ষতিকারকর রাসায়নিক ঢুকে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। পানাগড় নাগরিক মঞ্চের সদস্য প্রকাশ দাস বলেন তারা প্রশাসনকে এই বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তবে এখনো প্রশাসনিক ভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পানাগড় বাজারের ফল বিক্রেতারা স্বীকার করেছেন তারা যে সমস্ত কলা কিনছেন তা সবই আসে পানাগড় বাজারের দার্জিলিং মোড়ের ওই কারখানা থেকেই। তবে কীভাবে ওই কলা পাকানো হয় তা তারা জানেন না।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।